Wednesday 5 November 2014

ফেইসবুকীয় শোক সংবাদ

একটি ফেইসবুকীয় শোক সংবাদ...
বিশিষ্ট ফেইসবুকার অমুকবার্গ মারা গেছেন। মারা যাবার পূর্বে তার মরার মত যথেষ্ট বয়স হয়েছিল এবং মরার যথাযোগ্য কারণও ছিলো। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার কথা থাকলেও ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ কোন ধরনের শোক প্রকাশ করেননি বলে জানা গেছে।আরও জানা গেছে জীবিত থাকতে তিনি নিয়মিত ফেইসবুক ব্যবহার করতেন। ফেইসবুকে তার হাজার হাজার ফ্রেন্ডস্ এবং ফলোয়ারস্ ছিলো। এমনকি শেষ দিকে এসে তিনি ফেইসবুকে নিজের নামে একটি পেইজও খোলেন যেখানে লাখের কাছাকাছি ফ্যানস্ (এসি,রেগুলেটর কিংবা ফ্রিজও হতে পারে) ছিলো। তিনি মূলত একজন ফেইসবুক সেলিব্রেটি ছিলেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় নির্ধারণ করে ফেইসবুকে ইভেন্ট খুললে সেখানে যোগদানকারী হিসেবে সহস্রাধীক ব্যক্তি কথা দিলেও মূল অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউই অংশগ্রহন করেনি। দিনশেষে তার পরকালীন শান্তি কামনা করে বিভিন্ন পেইজ এবং গ্রুপে দোয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে তার দীর্ঘ ফেইসবুক জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এত বেশি চোখের জল গড়িয়েছে যে ফেইসবুকের ফেইস এবং বুক দুটোই ভেসে গেছে। ফলে সেখানে বাঁধের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। সংবাদ এ পর্যন্তই। ধৈর্য ধরে বিরক্ত হবার জন্য ধন্যবাদ।

Monday 3 November 2014

ভক্তি

ভক্তিতে মুক্তি মেলে ''
কথাটি আমি অনেক শুনেছি। যাহোক এখানে ভক্তি শব্দটি কিন্তু সচরাচর যে অর্থে ব্যবহৃত হয় সে অর্থে ব্যবহৃত হয় নি।  আব্বু বলে ভক্তি বলতে লেগে থাকো, কোন কিছুর পেছনে আঠার মত লেগে থাকো, তাহলে হয়ত তুমি সাফল্য পাবে আর না পেলেও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট থাকবে এই ভেবে যে তুমি চেষ্টা করেও পারো নি।
আমরা বাঙালিরা যে কেমন তা কি বলব? বিষয়টা অনেকটা এরকম। যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন পরিস্থিতি বুঝতে পারি এবং সেটা নিয়ে উঠে পড়ে লেগে যায়।  যদিও তখন করার তেমন কিছুই থাকে না। 
তাই আর ভক্তিতে মুক্তি মেলে না। ভক্তি করলে যদি মুক্তি মেলে তবে তুমি পার হয়ে গেলে আর না মিললে কি আর করা শান্ত্বনা তো পেলে।  আর যদি ভক্তি না করো তবে তুমি কি পেলে????

বৈদ্যুতিক পাখা

এখনো পুরোপুরি অসহায় না হলেও অসহায় হতে খুব বেশি বাকি নেই....

Sunday 2 November 2014

কবিতা ৩

"এমনটি না হলেও পারতো!"
--------------------------
-ধন্যবাদ আপনাকে।
-কেন?
-এই যে এখানে এসেছেন কষ্ট করে।
-সে আর এমন কি। নিত্য কত সময় যাচ্ছে নষ্ট হয়ে।
-যাহোক বসুন তবে। চা চলবে?
-চলবে বৈকি দৌড়োবে। সম্ভব হলে এক গ্লাস জল?
-আচ্ছা বসুন।
'ঘরজুড়ে কিছু নেই শুধু কয়েকটা পুরনো বইপত্তর।শোবার জন্য ছোট একটা চৌকি। বহুদিনের পুরনো মখমলের চাদর বিছানো তাতে। মেহগনি কাঠের পড়ার টেবিল। কিছু ময়লা কাপড় চোপড়। একটা ফ্রেম ভাঙা চশমা আর কিছু ওষুধের পরিত্যক্ত অংশ।'
-এই নিন জল। চাও প্রায় প্রস্তুত।
-আচ্ছা আপনার কি বড় কোনো অসুখ?
-তেমন কিছু না। মাঝে মধ্যে একটু আধটু মাথা ব্যথা, এর বেশি কিছু নয়।
-শুধুই মাথা ব্যথা?
-ওদিকে চা বসিয়েছি।
'প্রসঙ্গ পাল্টে উঠে যান তিনি। ঘোর কাটে না আমার। আসলে কি শুধুই মাথা ব্যথা নাকি অন্য কিছু? গরম ধোঁয়া ওঠা আদা চা চলে এসেছে। সাথে এসেছেন তিনি।যাকে বোঝার মত ক্ষমতা সম্ভবত আমার নেই।'
-আপনার আর কেউ নেই?
-না,আছে তো। মা,বাবা,ভাই, বোন। ওহ না!  নেই। মরে গেছে সব।
-সত্যিই আমি দুঃখিত। জানতে পারি -কিভাবে?
-আমার কাছে রবি ঠাকুরের 'ঘরে বাইরে' বিভূতিভূষনের 'পথের পাচালি'সহ শ'খানেক বই আছে পড়বেন?
'একের পর এক প্রসঙ্গ পাল্টে যাচ্ছেন তিনি। কোন কিছুতেই ঠেই পাওয়া যাচ্ছে না।সব কথা বুকে পুষে রাখর দারুন ক্ষমতা তার আছে।'
-জানেন? খুব সখ ছিলো কটা কবিতা লিখবো।একটাও লেখা হয় নি। আমার ভেতর কবিতা আসেনি। কখনোই না।
-এখনো তো সময় পেরিয়ে যায় নি। লিখুন না।
-সময় কোথায়? আর মাত্র মাস দুয়েক। তারপর...।
'গলা ভারী হয়ে ওঠে তার। কথা না বাড়িয়ে বইয়ের তাকের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানেই মেলে ফর্দটা। বাজারের নয়,ওষুধের। দুমাসের বেশি বাঁচবেন না তিনি আর। উঠে পড়া ছাড়া গতি থাকে না বলে তাই করতে হয়।'
-আজ উঠি। অন্যদিন কথা হবে।
-না। আর কথা হবে না কোনদিন। আজই আমি ফিরে যাবো। ফিরে যাবো আপন ঘরে।
-মানে?
'প্রশ্নের উত্তর আসে না। উত্তর দেবার মত অবস্থায় আর নেই উত্তরদাতা। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস গলা চিরে বেরোয় তার। তারপর থেমে যায় সব। ফিরে আসি।  ফিরে আসা ছাড়া করার থাকে না কিছুই।'

Saturday 1 November 2014

অতঃপর আমি,,,

অত:পর
আমি হারিয়ে গেছি,কালের
বিবর্তনে.....
পথ হেটে চলে এসেছি অসীমের
অনেক কাছে .....
পথের বাধা-
বিঘ্ন কাটানোর
ক্ষমতা রাখি এখন আমি ....
বহু অভিজ্ঞতায় সিক্ত
হয়েছি আমি ....
দৃঢ়তার
সাথে সকল কন্টকতা পরিহার
করার অভ্যাস
হয়ে গেছে আমার...
এখন আমি খুব পরিপক্ত .....
সবকিছুই নিয়ন্ত্রনে আনার
দক্ষতা আমার আছে .....
শুধু সঠিক
পথটা হারিয়েছি আমি ....
সেই পথ যে পথে হাটার সামর্থ
আমার ছিল কিন্তু
পারিনি আমি ..
...........

ফুল

ভুলগুলো ফুল হয়ে গেলে পাখিদের বাড়ে কলরব।
প্রজাপতির ডানায় লেগে থাকে রোদ আর রংধনু।
তবু কেনো আকাশের বুকে শূন্যতা বাড়ে বরাবরই?
কিছু মেঘ হাওয়া বদলের সাক্ষী হয়ে থাকে,
আর আমাদের মতন ভবঘুরেদের জীবনেও নেমে আসে কুয়াশা।

কেন সব বদলে গেলে বদলাই না আমরা? বদলে না আমাদের ভাগ্যলিখণ।

Friday 31 October 2014

পাহাড়ের কাব্য

পাহাড় দেখি নাই কভু
তবু শুধু মনে পড়ে পাথরের কথা।
মেঘ
যেখানে ছুঁয়ে গেছে পাহাড়ের অধর,
সেইখানটাতে চড়ি নাই কভু
তবু মেঘ ধরতে মন চায় শুধু।

রাত

মাঝে মধ্যে রাত দুপুরে জোছনা কুড়াবার বাতিক জাগে মনে। ঘর দরজা ঠেলে উঠোনে নেমে পড়লেই আকাশ। আকাশের বুক আকড়ে বেঁচে থাকে চাঁদ। অথচ আকাশের কোন আশ্রয় নেই। বুক জুড়ে শুধু শূন্যতা। আমি সেই শূন্যতাকেই ভালোবাসি। আকাশও বোধয় ভালোবাসে আমাকে।

কবিতা ২

এখন বেহাল দশা ঘুমের।
রাজ্যজুড়ে কেউ জেগে নেই
রাতের চোখে ঝিমুনি
ঘুমঘোরে নাক ডাকে আঁধার
চোখ বুজে এসেছে চাঁদেরও
তারার পাড়াও ঘুমের রাজ্যে
ঘুঘুরা ডাক থামিয়ে
আয়োজন করছে ঘুমের
রাতজাগা পাখিরাও ঘুমে ডুবে গেছে
রাতের কোলে মাথা পেতে
শুয়ে পড়েছে হাওয়াও।
সবাই যখন ঘুমে মগ্ন
আমার তখন ঘুমহীন রাত্রি জাগার পালা।

কবিতা

এইসব আজন্ম পাপের কাব্য পাখিদের জানা ছিলো না। ফলে তারা উত্তর থেকে পাড়ি জমিয়েছিলো দক্ষিণে। হাওয়াদের সাথে পাল্লা দিয়ে উড়েছিলো দারুণ বেগে। স্বপ্নভর্তি বুকের পাজর সমেত দক্ষিণে এসে আশাহত হতে হয় তাদের। কেননা সেখানে পাপের রাজ্য গড়ে উঠেছিলো ততদিনে। ফলে ফিরে যাওয়া ছাড়া গতি কি??

Sunday 26 January 2014

স্বপ্ন দেখো হরদম , হররোজ। সমুখে উন্মুক্ত স্বপ্নদুয়ার !